বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বহু মানুষ প্রচুর পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হন।এছাড়াও আছে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ এবং স্পনশরশিপ থেকে উপার্জন করার সুযোগ।ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচুর মানুষ উপার্জন করছেন এতো জানা কথাই। তবে আপনি কি জানেন TikTok ছোটো ছোটো ভিডিও বানানোর মাধ্যমেই বহু মানুষ উপার্জন করে নিয়েছে বহুল পরিমান অর্থ? আজকের পোস্টে সেইরকমই ৫ জন সফল টিকটকারদের সম্বন্ধে আলোচনা করা হল যারা শুধুমাত্র TikTok ভিডিও বানিয়ে অর্জন করেছেন খ্যাতি এবং অর্থ।
রান্না থেকে শুরু করে ছোটো ছোটো নাচের ভিডিও সবকিছুই বানিয়ে পোস্ট করা যায় এই অ্যাপটিতে।আর এই ভিডিওগুলো একবার জনপ্রিয়তা পেয়ে গেলেই সেখান থেকে সহজেই অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়।
এখন দেখে নেওয়া যাক এই ৫ জন টিকটকার-এর নাম।
১। অ্যাডিসন রে ইস্টারলিং
- বার্ষিক উপার্জন- ৫ মিলিয়ন ডলার
- টিকটক ফলোয়ার সংখ্যা- ৬৪.৬ মিলিয়ন
অ্যাডিসন রে ইস্টারলিং একজন শিক্ষার্থী যিনি TikTok ছোটো ছোটো ভিডিওর মাধ্যমে নিজের নৃত্যের প্রতিভা প্রদর্শন করে থাকেন।২০১৯ সালের জুলাই মাসে তিনি TikTok আসেন এবং সেই বছরেরই অক্টোবার মাসের মধ্যেই তিনি ছুয়ে ফেলেন ১ মিলিয়ন ফলোয়ারের সংখ্যা।বর্তমানে তিনি এতই বিখ্যাত যে বিভিন্ন ইভেন্টে তার ডাক পড়ে বিশেষ অতিথি হিসাবে এবং তার নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।
২। চার্লি ডি অ্যামিলিও
- বার্ষিক উপার্জন- ৪ মিলিয়ন ডলার
- টিকটক ফলোয়ার সংখ্যা- ৯২.৬ মিলিয়ন।
পরবর্তীতে যেই টিকটক স্টারের কথা আমরা জানবো তার নাম হলো চার্লি ডি অ্যামিলিও।তিনি ২০১৯ সালের জুন মাসে TikTok ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেন।এবং সেই বছরের মাঝামাঝি তার একটি নাচের ভিডিও প্রবলভাবে ভাইরাল হয়ে যায় এবং তিনি বহুলভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। জনপ্রিয়তা লাভের অনতিকাল পরেই তার কাছে সুযোগ আসে আমেরিকার বিখ্যাত ‘জোনাস ব্রাদারস’-এর সাথে কাজ করার।তার খ্যাতি ধীরে ধীরে এরপরে বাড়তেই থাকে।এমনকি তাকে জিমি ফ্যালনের টক শোতেও অতিথি হিসাবে ডাকা হয়।
৩।ডিক্সি ডি অ্যামিলিও
- বার্ষিক উপার্জন- ২.৯ মিলিয়ন ডলার
- টিকটক ফলোয়ার সংখ্যা- ৪০.৫ মিলিয়ন
ডিক্সি ডি অ্যামিলিও হলেন চার্লি ডি অ্যামিলিওর বড় দিদি।এই দুই বোনই প্রতিভার দিক থেকে টেক্কা দেন একে অপরকে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই TikTok ই তাদের প্রতিযোগীতা চোখে পড়ার মতো।দুই বোনই সফলভাবে মাত্র একবছরের মধ্যেই বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হন TikTok ভিডিও তৈরী করার মাধ্যমে।
৪। লরেন গ্রে
- বার্ষিক উপার্জন- ২.৬ মিলিয়ন ডলার
- টিকটক ফলোয়ার সংখ্যা- ৪৮.১ মিলিয়ন
লরেন গ্রে-এর ক্ষেত্রে কিন্তু TikTok সাফল্যের দিকে যাত্রা খুব একটা সমান্তরাল ছিল না।যাত্রার শুরুর দিকে বহু বাজে ট্যালেন্ট ম্যানেজারের ভুলের জন্য তাকে বেশ ভুগতে হয়েছিল এবং পড়ের দিকে তিনি এইসব ট্যালেন্ট ম্যানেজারের কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিজের মর্জি মতো ভিডিও বানাতে শুরু করলেন।এবং ফল পেলেন হাতেনাতে।নিজের মতো করে ভিডিও বানাতে শুরু করার পর তার জনপ্রিয়তা হয় গগনচুম্বী এবং এরপরে আর তাকে কখনো পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি।
৫।জশ রিচার্ড
- বার্ষিক উপার্জন- ১.৫ মিলিয়ন ডলার
- TikTok ফলোয়ারের সংখ্যা- ২২.৪ মিলিয়ন
TikTok এর সবচেয়ে বেশী উপার্জনকারীদের মধ্যে একজন হয়ে ওঠার জন্য জশ রিচার্ড প্রচুর পরিশ্রম করেছেন।TikTok গান গেয়ে, নৃত্য প্রদর্শন করে এবং গানের সাথে ঠোঁট মিলিয়ে তিনি ধীরে ধীরে তার জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।জনপ্রিয়তা অর্জন করার প্রায় সাথে সাথেই সে শুরু করে দেয় রিবক এবং হাইজপার্টির মতো বড়ো বড়ো কোম্পানির সাথে পার্টনারশিপে কাজ।বর্তমানে সে বিখ্যাত এবং সফল টিকটকারদের মধ্যে একজন।
মানুষ যদি চায় তাহলে সবকিছুই সম্ভব এই বিষয়টি হাতে নাতে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন এই ৫ জন টিকটক স্টার।এনারা শুধুমাত্র TikTok ভিডিও বানিয়েই হয়ে উঠেছেন আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী এবং একইসাথে অর্জন করেছেন প্রবল জনপ্রিয়তা।
আপনার কি মনে হয়?আপনার মতামত অবশ্যই আমাদের জানান কমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে এবং লাইক ও শেয়ার করে পোস্টটিকে ছড়িয়ে দিন সকলের মাঝে।টেকনোলজি সম্বন্ধিত আরও খবর জানতে চোখ রাখুন টুকিটেকের ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।