স্পেস এক্সপ্লোরেশন দিবস- টেকনোলজির সাহায্যে মানুষের মহাকাশ জয়ের এক ঐতিহাসিক দিন!

0
314

অতীতকাল থেকে আজ অবদি মানুষ তার অসাধারণ বুদ্ধি ও পরিশ্রমের জোরে আবিষ্কার করেছে অভাবণীয় অত্যাশ্চর্যকর বস্তুর।আর সেই আবিষ্কারের ওপর নির্ভর করেই মানবজাতি ঘটিয়ে ফেলেছে অনেক অসম্ভব জিনিস এবং ধীরে ধীরে উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে।মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হল টেকনোলজি।আর এই টেকনোলজির ওপর নির্ভর করেই আজ থেকে কয়েক বছর আগে মানুষ ২০শে জুলাই ঘটিয়ে ফেলেছিল এক অভাবনীয় কান্ড। পৃথিবী ইতিহাসে মানুষ প্রথমবার এই দিনেই চাঁদের বুকে প্রথম পদক্ষেপ ফেলেছিল।এই দিনটিকে তাই বলা হয় স্পেস এক্সপ্লোরেশন দিবস।মানুষের চাঁদ ছোঁয়ার স্বপ্ন এই দিন পূরণ হয়েছিল তাই এই দিনটিকে চন্দ্র দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হয়ে থাকে।

এককালে যেই বিষয়টা কল্পবিজ্ঞানের গল্পের বিষয় ছিল, সেটাই একদিন সকলকে অবাক করে সত্যি ঘটনাতে পরিনত হল।টেকনোলজি এতটাই উন্নত হয়ে গেল যে চাঁদে মানুষের পদার্পনের মতো অস্বাভাবিক ঘটনাও সম্ভব হল।শুধুতাই নয় এই অভাবণীয় ঘটনা মানুষের আত্মবিশ্বাসকেও করল আকাশ্চুম্বী।

মানবজাতির এই অসাধারন কৃতিত্বের প্রভাবে সারা বিশ্বে এক অভাবণীয় পরিবর্তন দেখা দিল।স্পেস এক্সপ্লোরেশনের এই বছরটি,পৃথিবীর ইতিহাসে হয়ে রইল এক অভাবনীয় দৃষ্টান্ত।এই বছরে ভিয়েতনামে ছিল অখন্ড শান্তি।নিউ ইয়র্ক শহরে অপরাধের মাত্রা এই বছরে অভাবনীয় ভাবে কমে গিয়েছিল।সারা বিশ্বের মানুষ ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ছিল।যেখানে কোনো দ্বন্দ্ব মানুষের মধ্যেকার ধ্বংসাত্মক মানসিকতাকে জাগিয়ে তোলে, সেখানে মানবজাতির এই মহাকাশ জয় মানুষের সৃজনশীলতাকে উদবুদ্ধ করে তুলেছিল।অ্যাপোলো ১১ রকেটের মহাকাশচারীরা এক অদ্ভুত জাদুবলে সারা বিশ্বকে শান্ত করে তুলেছিল।

অ্যাপোলো ১১-এর সেই যাত্রা শুধুমাত্র স্পেস এক্সপ্লোরেশন ছিল না সেটি মানুষের অন্তরাত্মার এক্সপ্লোরেশনও ছিল।প্রকৃতির অদ্ভুত সৌন্দর্যকে কাছ থেকে দেখার পর আসে এই ধরনের স্থির প্রশান্তি।মানুষ রোজ আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদকে দেখতো, তাকে ছোঁয়ার কল্পনা করতো, একদিন তার সেই কল্পনা হঠাতই বাস্তবায়িতই শুধু হল না সমস্ত মানবজাতি সেইদিন চাঁদের বুকে দাঁড়িয়ে আকাশে পৃথিবীকে দর্শন করলো।

মানুষের ছোটো থেকেই অজানাকে জানার কৌতুহল থাকে।মানুষের সেই কৌতুহলই মানুষকে চাঁদে নিয়ে যেতে সক্ষম করলো।আমরা ধীরে ধীরে বড় হয়েই আর এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই আমরা জীবনের অনেক অজানাকেই জানতে পারি।আর এভাবেই ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে মানবজীবন।স্পেস এক্সপ্লোরেশন ছিল সেইরকমই একটি আবিষ্কারে পর্যায় যার আনন্দ সমস্ত পৃথিবীর মানুষ ভোগ করেছিল।

মহাকাশ সৌন্দর্যে ভরা,রহস্যে ভরা এবং বিস্ময়ে ভরা।প্রতিনিয়তই মহাকাশে কিছু না কিছু রহস্যময় ঘটনা ঘটেই চলেছে।সে শনি গ্রহের চারপাশের অজস্র বলয় হোক কিংবা চাঁদের বুকে আগ্নেয়গিরির উপস্থিতি রোজই মহাকাশের বিস্ময়েভরা রহস্য উদঘাটন হচ্ছে আমাদের সামনে।রহস্যে মোড়া এইসব মহাজাগতিক ঘটনা বুঝতে, দেখতে, শুনতেও প্রানের ভেতর এক অজানাকে ছোঁয়ার বাসনা থাকা চাই।আত্মবিশ্বাসের জোড়েই আজও চলছে মানবজাতির অজানাকে জানার লড়াই।মহাজাগতিক রহস্যের গভীরে ঢোকার প্র্য়াস।বিজ্ঞানের সাহায্যে প্রতিনিয়তই মানুষ উন্নত করছে টেকনোলজিকে তবে তার সাথে সাথে নিজের মনকেও উন্নত করা প্রয়োজন। তবেই একমাত্র মুক্ত মনে উন্নত টেকনোলজির সঠিক প্রয়োগ সম্ভব, মহাকাশের গভীর তত্ত্বকে আরও বেশী করে উদঘাটন করা সম্ভব।

Leave a Reply