বাড়ির জন্য বাছুন সঠিক আলো, কীভাবে? সন্ধান দিল টুকিটেক!

0
417

কথায় বলে, পথ হারানো পথিকও আলোর দিশায় বাড়ি ফেরে।অনেকেই হয়ত জানেন না, আমাদের জীবযাত্রার ওপর আলোও বেশ প্রভাব বিস্তার করে।আমাদের ঘুমের সময় থেকে মস্তিষ্কের সচলতা সবই কিন্তু অনেকটা আমাদের ঘরের আলোর ওপর নির্ভর করে।এই জন্য যেই বাড়িতে আপনি থাকছেন সেই বাড়ির প্রত্যেকটি ঘরের জন্য সঠিক আলো অবশ্যই বাছা দরকার, যা আপনার বাড়ির সাথে সাথে আপনার জীবনকেও আলোকিত করে তুলবে।তবে এত ধরনের আলোর মাঝে কোন ধরনের আলো কোন ঘরের জন্য সঠিক হবে সেটা বাছতে গিয়েই অধিকাংশ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েন।

বিভিন্ন আলো বিভিন্ন রকমভাবে মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।তাই আপনার বাড়ির কোন ঘর কোন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তা বুঝেই বাছতে হবে সেই ঘরের জন্য সঠিক আলো।এছাড়াও ঘরের কোন জায়গায় আলো হবে জোড়ালো এবং কোন জায়গায় থাকবে হালকা আবেশ সেইসবের ওপরেও নির্ভর করে ঘরের সৌন্দর্য্য।ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সাধারণত তিন রকমভাবে আলো ব্যবহার করা হয়।

• সাধারণ অর্থাৎ অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং- পুরো ঘর জুড়ে যেই আলো থাকে তাকে বলে সাধারণ বা অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং।অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিংকে ওই ঘরের সাধারণ আলো হিসেবেই ধরা হয়।এই আলোর জন্য ঝাড়বাতি,ঝুলন্ত আলো কিংবা দেওয়ালে বসানো আলো অর্থাৎ স্কোনের ব্যবহার করা যেতে পারে।

• টাস্ক লাইটিং- কাজের জায়গা কিংবা পড়ার জায়গাকে বিশেষ ভাবে আলোকিত করাকে বলা হয় টাস্ক লাইটিং।ঘরের অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং-এর থেকে এই আলো যাতে জোড়ালো হয় সেইদিকে নজর রাখতে হবে।টাস্ক লাইটিং-এর জন্য ডেস্ক ল্যাম্প কিংবা রান্নাঘরের ক্যাবিনেটের নীচে লাইট ব্যবহার করা যেতে পারে।

• জোরালো আলো বা অ্যাক্সেন্ট লাইটিং- ঘরের মধ্যে যেই জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সুন্দর তার ওপর ফেলা হয় জোরালো আলো, একেই বলে অ্যাক্সেন্ট লাইটিং।অ্যাক্সেন্ট লাইটিং-এর ফলে আপনার ঘরের সবচেয়ে সুন্দর বস্তুটির ওপর সহজেই মানুষের চোখ পড়ে, এছাড়াও ওই বস্তুর চারপাশে একটি আলছায়ার সুন্দর খেলা চলে যা আপনার ঘরে এক সুন্দর আবেশ তৈরী করে।

কোন ঘর কীভাবে ব্যবহৃত হবে তার ওপর নির্ভর করে লাইটিং টেকনিকগুলো সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়।ঘরে সুন্দর লাইটিং তৈরী করার জন্য বেছে নিতে হবে সঠিক বাল্ব।বাল্বই হল ঘরের আলোর উৎস, বাল্বের ওপরই নির্ভর করে আলোর প্রকার।বাল্ব সাধারণত চারধরনের হয়।
• সাধারন বাল্ব- এই ধরণের বাল্বগুলো সাধারণ হলুদ আলোর বাল্ব যা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে।এই ধরনের বাল্ব খুব একটা উজ্জ্বল না হলেও একটি সুন্দর উষ্ণ জ্বলজ্বলে আলো দেয়।

• কম্প্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট বাল্ব- এই ধরনের বাল্ব একটি সাধারণ বাল্বের থেকে কম কারেন্টে জ্বলতে সক্ষম এবং এর আলোও একটি সাধারণ বাল্বের থেকে হয় অনেকগুন বেশি।

• এলইডি বাল্ব- এরা সিএফএল বাল্বের মতই কম কারেন্টে জ্বলে তবে সিএফএলের থেকে বেশি আলো দিতে সক্ষম।এই বাল্ব অনেকক্ষন জ্বললেও সহজে গরম হয় না।

• হ্যালোজেন- এই বাল্ব দিনের আলোর মতো জোরালো আলো দিতে সক্ষম।এই জন্যই এই ধরনের বাল্ব সাধারণত রাস্তাঘাটে ব্যবহার করা হয়।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘর সাজানো নির্ভর করে নিজেদের চোখের সৌন্দর্যের ওপরে।তাই আলো সম্বন্ধিত ওপরের বিষয়গুলি মাথায় রেখে মন খুলে সাজান আপনার স্বপ্নের বাড়ি।আমরা পথটুকু দেখিয়ে দিলাম, তাকে নিজের মতো করে সাজানোর দায়িত্ব আপনার।

Leave a Reply