ডিএসএলআর নাকি মিররলেস ক্যামেরা-কোনটি হবে আপনার জন্য উপযুক্ত?জেনে নিন

0
1226

যেসমস্ত মানুষ ছবি তোলার ব্যাপারে উৎসাহী হন তারা ছবি তোলার জন্য পছন্দ করে সবচেয়ে ভালো ক্যামেরা।কিন্তু ডিএসএলআর নাকি মিররলেস কোন ধরনের ক্যামেরা হবে ফোটোগ্রাফির জন্য ভালো এই চিন্তা সদা সর্বদা থাকে তাদের মনে।

তাই  আমাদের পাঠকদের  এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য আজকের পোস্টে আলোচনা করা হলো ডিএসএলআর এবং মিররলেস ক্যামেরার বিস্তারিত বৃত্তান্ত সম্বন্ধে।

ডিএসএলআর ক্যামেরা কী?

আগেকার দিনের ৩৫ এমএম ফিল্ম ক্যামেরার আদলে বানানো হয় ডিএসএলআর ক্যামেরা।এই ক্যামেরার লেন্সের মধ্যে দিয়ে যে আলো আসে সেটি ক্যামেরার মধ্যে থাকা আয়নার মধ্যে প্রতিবিম্বিত হয়ে ভিউফাইন্ডারের মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীকে ছবির প্রিভিউ দেখাতে সাহায্য করে।যখন ব্যবহারকারী ক্যামেরার শাটার প্রেস করেন তখন ভেতরের আয়নাটি উলটে যায়,শাটার খুলে যায় এবং আলো এসে পড়ে ইমেজ সেনসরে, তার সাথে সাথে ক্যামেরা বন্দী হয় ছবি।

মিররলেস ক্যামেরা কী?

মিররলেস ক্যামেরায় বাইরের আলো সোজাসুজি লেন্সের মাধ্যমে এসে ইমেজ সেনসরে পড়ে যেটি ছবির প্রিভিউ ক্যাপচার করে রিয়ার স্ক্রিনে ব্যবহারকারীকে দেখায়।কোনো মিররলেস ক্যামেরার মডেলে একটি দ্বিতীয় স্ক্রিনও ইলেকট্রনিক ভিউফাইন্ডারের মধ্যে থাকে।

ডিএসএলআর ক্যামেরা এবং মিররলেস ক্যামেরার সুবিধা এবং অসুবিধা

মিররলেস ক্যামেরা এবং ডিএসএলআর ক্যামেরা দুটোই প্রায় একই ধরনের মানের ছবি তুললেও এই দুটি ক্যামেরারই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা আছে।এখন সেই সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

ডিএসএলআর ক্যামেরার সুবিধা

  • ডিএসএলআর ক্যামেরায় আছে অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডার যা তাড়াতাড়ি ছবি তুলতে সাহায্য করে।
  • এই ক্যামেরার অটোফোকাসের ক্ষমতা উন্নত এবং দ্রূততর।
  • ডিএসএলআর ক্যামেরার অনেক ধরনের অ্যাকসেসরিসের অপশন পাওয়া যায়, এছাড়াও এই ক্যামেরার অনেক ধরনের লেন্স পাওয়া যায়।

ডিএসএলআর ক্যামেরার অসুবিধা

  • এই ক্যামেরা দেখতে বড়োসড়ো এবং ভারী হয়।
  • ডিএসএলআর ক্যামেরার উন্নত মডেলগুলো ভীষন দামী হয়ে থাকে।
  • পর পর অনেকগুলো শট একসাথে নেওয়ার সময় ডিএসএলআর ক্যামেরার স্পিড কমে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

আপনি যদি প্রচলিত ভিউফাইন্ডারের মাধ্যমে ছবি তুলতে ভালোবাসে এবং ক্যামেরার জন্য অনেক ধরনের অ্যাকসেসরিস কিনতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত ক্যামেরা হলো ডিএসএলআর।ডিএসএলআর ক্যামেরার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং আকর্ষনীয় ফিচার হলো এর অটোফোকাসের ক্ষমতা।

মিররলেস ক্যামেরার সুবিধা

  • অনেক মিররলেস ক্যামেরায় থাকে ইলেকট্রনিক ভিউ ফাইন্ডার যা ফাইনাল ইমেজের সঠিক প্রিভিউ দেখাতে সাহায্য করে।
  • মিররলেস ক্যামেরা ডিএসএলআর ক্যামেরার থেকে অনেক ছোটো ও হাল্কা হয়।
  • ডিএসএলআর-এর থেকে এই ক্যামেরা অনেক কম দামের হয়।
  • মিররলেস ক্যামেরার দ্রূত পর পর শট সহজেই নেওয়া যায়।
  • এই ক্যামেরার ভিডিও-এর মান হয় অসাধারণ।
  • এই ক্যামেরার অনেক সিন মোড থাকে এবং থাকে প্রচুর অটোমেটিক সেটিং।

মিররলেস ক্যামেরার অসুবিধা

  • অনেক মিররলেস ক্যামেরার মডেলে ভিউফাইন্ডার থাকে না।
  • ইলেকট্রনিক ভিউ ফাইন্ডারে প্রিভিুউ আসতে দেরী হতে পারে।
  • মিররলেস ক্যামেরায় কম অ্যাকসেস বাটন থাকে।
  • মিররলেস ক্যামেরার জন্য খুবই কম অ্যাকসেসরিস কিংবা লেন্স পাওয়া যায়।
  • মিররলেস ক্যামেরার ব্যাটারীলাইফ কম হয়।

আপনি যদি হাল্কা এবং কমপ্যাক্ট ক্যামেরা পছন্দ করেন তবে এই ক্যামেরা আপনার জন্য একদম উপযুক্ত ক্যামেরা।যত দিন যাচ্ছে উন্নত টেকনোলজির কারণে ডিএসএলআর এবং মিররলেস ক্যামেরা ক্রমশ একই মানের হয়ে আসছে।তাই এই দুটি ক্যামেরাতেই ছবির মানের কোনো ঘাটতি দেখা যায় না। আপনার কি মনে হয়?আপনার মতামত অবশ্যই আমাদের জানান কমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে এবং লাইক ও শেয়ার করে পোস্টটিকে ছড়িয়ে দিন সকলের মাঝে।টেকনোলজি সম্বন্ধিত আরও খবর জানতে চোখ রাখুন টুকিটেকের ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।

Leave a Reply