উপযুক্ত চাকরি পেতে হলে এই পাঁচটি বিষয় মেনে চলুন চাকরির প্রস্তাব নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার সময়!

0
435

অধীর অপেক্ষায় আছেন উপযুক্ত চাকরি এর প্রস্তাবের জন্য?কিংবা কর্মক্ষেত্রে আপনার মাসিক বেতন-বৃদ্ধির আশায় দিন গুনছেন?এইসব সমস্যাই হবে সমাধান কর্মক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের সাথে আপনার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সময় পাঁচটি বিষয় মেনে চললে।

অনেকেই তাদের নিয়োগকর্তাদের সাথে কাজের প্রস্তাব কিংবা বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে অস্বচ্ছন্দ বোধ করেন।কিন্তু নিজেদের যোগ্য বেতন অর্জন করতে গেলে অবশ্যই এই ব্যাপারে নিয়োগকর্তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করা জরুরি।এই বিষয়ে আলোচনা করার সময় যদি কিছু বিষয় মাথায় রেখে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে ইচ্ছাপূরণ হয় সহজেই।

৫ টি নিয়ম মেনে চলুন উপযুক্ত চাকরি এর প্রস্তাব নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার সময়! :

১।সম্মতি দেওয়ার আগে সময় নিন

কর্মকর্তাদের সাথে কাজের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সময় তাড়াহুড়ো করা একেবারেই উচিত নয়।তার বদলে কর্মকর্তাদের ভাববার জন্য সময় দিতে অনুরোধ করা উচিত।

কর্মকর্তাদের কাছ থেকে দুইদিন কিংবা কমপক্ষে একদিন সময় চেয়ে নিন এবং এইসময়ে আপনি নিজে চিন্তা করুন কাজের প্রস্তাবটি নিয়ে, সেটি আপনার জন্য যোগ্য হবে কিনা।নিজে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়ার পর কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপআলোচনা করুন।

২।আবেগকে বশে রাখতে শিখুন

বেতন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার সময় বিভিন্ন রকমের চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে পারে।সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই আবেগকে বশে রাখা জরুরি।এই সময় ভয়, উদ্বেগ, উৎসাহ এমনকি নিরাশা-র মতো আবেগ মনের মধ্যে কাজ করে।

সবসময় মাথায় রাখতে হবে এই আলোচনা যতই কঠিন হয়ে উঠুক না কেন, কর্মকর্তাদের সামনে নিজের মনোভাব স্থির রাখতে হবে এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে।

৩।প্রথমে কর্মকর্তাদের প্রস্তাব শোনা উচিত

কাজের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সময় কখোনই নিজের প্রস্তাব আগে জানানো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।ধৈর্য্য নিয়ে আগে মন দিয়ে কর্মকর্তাদের প্রস্তাব শুনে নেওয়া উচিত এবং সেইমতো আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।যতক্ষন না কর্মকর্তারা নিজে থেকে জিজ্ঞেস করেন ততক্ষন নিজের আকাঙ্খিত বেতন সংখ্যা না জানানোই ভালো।

৪।বেতনের সাথে সাথে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারেও আলোচনা করে নেওয়া উচিত

কর্মকর্তাদের সাথে কাজের প্রস্তাব এবং মাসিক বেতনের ব্যাপারে আলোচনা করার সময়ে কর্মপ্রার্থীরা অনেক সময়েই কর্মক্ষেত্রের সাথে জড়িত অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে যান।শুধুমাত্র বেতনের ওপর জোর দিয়ে আলোচনা না করে তার সাথে সাথে এই অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো যেমন- স্বাস্থ্য সমন্ধিত সুবিধা, বোনাস, বেতনযুক্ত ছুটি এইসব বিষয় নিয়েও আলোচনা করা উচিত।এমনটা হতেই পারে কর্মকর্তারা আপনাকে উচ্চবেতন দিতে রাজি না হলেও এই অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধাগুলি সহজেই মঞ্জুর করে দেবেন।

৫।নিজের কাজের যোগ্য মূল্য এবং কর্মকর্তাদের প্রস্তাবিত বেতনের মধ্যে ভারসাম্য জায় রাখুন

কর্মকর্তাদের সাথে বেতন নিয়ে আলোচনা করার সময় প্রথমে নিজের কাজের যোগ্য মূল্য অবশ্যই জানা উচিত।কোনো সংস্থাতে চাকরির জন্য আবেদন করার আগে এই জন্যই ভালো ভাবে সেই সংস্থা সম্বন্ধে রিসার্চ করে নেওয়া উচিত।

যদি চাকরির জন্য আপনি কোনো নন-প্রফিট কোম্পানিতে আবেদন করেন তাহলেই কখোনোই তাদের কাছ থেকে উচ্চবেতন আশা করা উচিত নয় কারণ তারা দিতে পারবে না।সেইরকমই আবার কোনো বড় কোম্পানিতে আবেদন করলে তারা আপনার কাজের যোগ্য মূল্য বেতন হিসাবে প্রস্তাব না করলে কখনোই সেই কাজ নেওয়া উচিত হবে না।

কর্মকর্তাদের সাথে বেতন বৃদ্ধি কিংবা কাজের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সময় এই বিষয়গুলো মেনে আলোচনা করলে অবশ্যই পাওয়া যাবে কর্মক্ষেত্রে কাজের যোগ্য মূল্য।   বেতন এবং কাজের প্রস্তাব নিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা কঠিন ব্যাপার হলেও এর ফলাফল অনেকক্ষেত্রেই আকর্ষনীয় লাভজনক হয় এবং তা কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়াতেও সাহায্য করে।  

আপনার কি মনে হয়?আপনার মতামত অবশ্যই আমাদের জানান কমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে এবং লাইক ও শেয়ার করে পোস্টটিকে ছড়িয়ে দিন সকলের মাঝে। এই  ধরনের আরও খবর জানতে চোখ রাখুন টুকিটেকের ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। 

আরও পড়ুনঃ স্বনির্ভর ব্যবসায়ীদের জন্য পাঁচটি জনপ্রিয় ক্রেডিট কার্ডের সন্ধান!

Leave a Reply